শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৫

শর্টকাট ভাইরাসের দিন শেষ স্থায়ীভাবে রিমুভ করুন

আমরা অনেকেই ইদানিং শর্টকাট ভাইরাসের জ্বালাতনে অতিষ্ঠ। অনেকেই টিউন করেন এটি রিমুভের বিষয়ে। এটা আসলে কোন ভাইরাস নয়, এটা একটি "VBS Script"।

শর্টকাট ভাইরাস স্থায়ীভাবে রিমুভের জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে।

অনাক্রান্ত কম্পিউটারের জন্য:

১. RUN এ যান।
২. wscript.exe লিখে ENTER চাপুন।
৩. Stop script after specified number of seconds: এ 1 দিয়ে APPLY করুন।
এবার কারো পেনড্রাইভের শর্টকাট ভাইরাস আর আপনার কম্পিউটারে ডুকবে না।
আক্রান্ত কম্পিউটারের জন্য:
১. কী বোর্ডের CTRL+SHIFT+ESC চাপুন।
২. PROCESS ট্যাবে যান।
৩. এখানে wscript.exe ফাইলটি সিলেক্ট করুন।
৪. End Process এ ক্লিক করুন।
৫. এবার আপনার কম্পিউটারের C:/ ড্রাইভে যান।
৬. সার্চ বক্সে wscript লিখে সার্চ করুন।
৭. wscript নামের সব ফাইলগুলো SHIFT+DELETE দিন।
৮. যেই ফাইলগুলো ডিলিট হচ্ছে না ওইগুলো স্কিপ করে দিন।
৯. এখন RUN এ যান।
১০. wscript.exe লিখে ENTER চাপুন।
১১. Stop script after specified number of seconds: এ 1 দিয়ে APPLY করুন।
ব্যাস হয়ে গেল  :mrgreen: আপনার কম্পিউটার শর্টকাট ভাইরাস মুক্ত। এবার অন্য কারো পেনড্রাইভের শর্টকাট ভাইরাস আর আপনার কম্পিউটারে ডুকবে না। :mrgreen:
😳  আক্রান্ত পেনড্রাইভের জন্য:
১. আপনার পেনড্রাইভটি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করুন।
২. এবার cmd তে যান।
৩. আপনার পেনড্রাইভের ড্রাইভ লেটারটি লিখে ইন্টার দিন। (যেমন: I:)
৪. নিচের কোডটি নির্ভুলভাবে লিখুন।
৫. কোডঃ attrib -s -h /s /d *.*
৬. ইন্টার কী চাপুন।
৭. এবার দেখুন পেনড্রাইভে রাখা আপনার ফাইলগুলো পুনরায় দেখাচ্ছে কিনা?
৮. এবার আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডাটাগুলো রেখে পেনড্রাইভ ফরম্যাট করে দিন।
হয়ে গেল আপনার পেনড্রাইভ শর্টকাট ভাইরাস মুক্ত। 😆
বিঃ দ্রঃ এন্টিভাইরাস নিয়মিত আপডেট করলে শর্টকাট ভাইরাস এ পিসি আক্রান্ত হবে না। সবাই ভাল থাকবেন।
:-) ফেসবুকে আমায় পেতে ফেসবুক লিঙ্ক এখানে ক্লিক করুন

  সূত্র : টেকনিউস
                                ধন্যবাদ :-)

শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫

ফ্রিল্যান্সিং কি, কেন এবং কাদের জন্য এবং ফরেক্স কি?

বর্তমানে ১৮০টি দেশের ২০ লাখ বায়ার এবং ৮৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার ওডেস্ক ও ইল্যান্স ব্যবহার করছেন। ওডেস্ক www.odesk.com ও ইল্যান্স www.elance.com হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অনলাইন কাজের মার্কেট প্লেস, যেখানে মানুষ বিভিন্নভাবে তাদের সেবা প্রদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কাজের বাজারে প্রবেশ করতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি এখন দেশে বহুল পরিচিত হলেও অনেকের কাছে কিছুটা কৌতূহল এবং অজানা একটি বিষয়। কাজটি কি শুধু আইটির? শুধু কি তরুণ প্রজন্মের জন্যই সুযোগ এখানে? এরকম অনেক প্রশ্ন আমরা প্রায়ই পেয়ে থাকি।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং নিজে কোনো কাজ নয়, কাজ করার একটি ধরন মাত্র। বিভিন্ন এলাকায় চেম্বারে বসা ডাক্তার যেভাবে নিজের মতো করে ক্যারিয়ার পরিচালনা করেন, একজন উকিল যেভাবে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন, একজন সিনেমার অভিনেতা যেভাবে নিজের সময় এবং পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে কাজ হাতে নেন, একইভাবে যেকোনো পেশায় একজন যখন নিজের মতো করে ক্যারিয়ার পরিচালনা করেন, সেটাই হলো ফ্রিল্যান্সিং। সেটা হতে পারে ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফি, ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডিজাইনিং, ফ্রিল্যান্স রাইটিং বা ফ্রিল্যান্স মার্কেটিংয়ের কাজ ইত্যাদি।

কেন ফ্রিল্যান্সিং?

খুবই সহজেই বলা যায় তাদের জন্যই যারা মুক্তভাবে নিজের পেশার চর্চা চালিয়ে যেতে চান, যারা চাকরির বন্ধকতায় না গিয়ে নিজের মতো কাজ করতে চান। তবে যে চাকরি বাদ দিয়েই করতে হবে, তা নয়। অনেক ফ্রিল্যান্সার যারা পূর্ণকালীন চাকরি করছেন এবং সন্ধ্যায় প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা কাজ করে ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার চালাচ্ছেন।

কাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং

আপনি ছাত্রজীবনে আছেন, কিছু কাজের অভিজ্ঞতা এবং উপার্জন করতে চাচ্ছেন, ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ কাজের পন্থা। আপনি শিক্ষিত গৃহিণী, পরিবারে সময় দেয়ার পাশাপাশি কিছু করতে চাচ্ছেন, ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে তার উত্তর। আপনি একজন পুরোদস্তুর পেশাজীবী, চাচ্ছেন দৈনন্দিন কাজের পাশে নিজের একটি স্বাধীন কাজের পথ তৈরি করতে, ফ্রিল্যান্স কাজ করেই শুরু করে দিতে পারেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কনসালটেন্ট হিসেবে একটি ক্যারিয়ার। এরকম কাজ করছে এমন মানুষের সংখ্যা আমাদের দেশে এখন কম নয়। শুধু ইল্যান্স-ওডেস্কেই আছে প্রায় চার লাখ নিবন্ধিত বাংলাদেশী। সবাই হয়তো কাজ করছেন না, কেউ শুরু করে দিয়েছেন বা কেউ চেষ্টা করছেন শুরু করার, কিন্তু তার পরেও ইল্যান্স-ওডেস্কে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা গড়ে প্রতিদিন আয় করেছেন প্রায় ২ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন কাজে তাদের প্রতি ঘণ্টা গড় আয় হচ্ছে প্রায় ৫-১৫ ডলার পর্যন্ত। 

বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক কাজের বাজার এখন ৪২০ বিলিয়ন ডলারের এবং এর মধ্যে অনলাইন চাকরির বাজার প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে ২০১৪ সালে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলারের কাজ শুধু ইল্যান্স-ওডেস্কেই করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যারা দক্ষ হয়ে এখনই প্রস্তুত হচ্ছেন, তাদের সামনে আছে অসীম সম্ভাবনার হাতছানি।

ফরেক্স কি?

বিট ৬৪ অপারেটিং সিস্টেম ও তার উপকারীতা কি?

ইউন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম গুলোর মধ্যে বিট ৬৪ হলো বিট ৩২ এর তুলনায় অত্যধিকতর কার্যকরী অপারেটিং সিস্টেম। বিট ৩২ অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে আপনি সর্বোচ্চ ৪ (চার) গিগাবাইট র‌্যাম হ্যান্ডেল করাতে পারবেন। তবে কোন কোন সময় তিন, সাড়ে তিন গিগার বেশি র‌্যাম হ্যান্ডেল করানো যায় না। আর বিট ৬৪ দিয়ে ১২৮ গিগাবাইট র‌্যাম হ্যান্ডেল করানো যাবে যা এখনো প্রায় কল্পনার বাহিরে। যেহেতু বিট ৩২ অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষমতা ৪ (চার) গিগাবাইটের ভেতরে সীমাবদ্ধ তাই এর পরিচালন ক্ষমতা ও অনেক কম।

বিট ৬৪ অপারেটিং সিস্টেম বিট ৩২ এর চেয়ে অধিক সুরক্ষিত এবং এতে কোন ড্রাইভার ইন্সটল করতে হলে মাইক্রোসফট এর দেয়া ডিজিটাল সাইন ব্যবহার করতে হয়। যদি ঐ ড্রাইভারে ডিজিটাল সাইন না থাকে তাহলে ইন্সটল করার সময় ওয়ার্নিং দেখবে। বিট ৩২ এর চেয়ে ৬৪ বিটে উইন্ডোজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশি, বিশেষ করে Kernel Patch Protection অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। 

সঠিকভাবে কাজ করার জন্য বিট ৬৪ এর জন্য ৬৪ বিটের সফটওয়ার আর ড্রাইভার যেমন দরকার তেমন বিট ৩২ এর জন্যও ৩২ বিটের সফটওয়ার আর ড্রাইভার দরকার। যে সব কাজের জন্য বেশি র‌্যাম প্রয়োজন তার জন্য ৬৪ বিটের বিকল্প নেই।

মজিলা ফায়ারফক্স এর কীবোর্ড শর্টকাট

মজিলা ফায়ারফক্স বিশ্বের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় একটি ব্রাউজার।  মজিলা ফায়ারফক্স এ ওয়েবপেজ ব্রাউজ করার সময় শর্টকাট কী ব্যবহার করলে আপনার সময় আরো কমে যাবে।

পেজ সংক্রান্ত শর্টকাটঃ


Spacebar — স্কিনে প্রদর্শিত অংশটুকুর বাকি অংশ দেখার জন্য Spacebar ব্যবহার করুন। এতে ওয়েব পেজের বাকি অংশ ধারাবাহিক ভাবে প্রদর্শিত হবে।
Shift – Spacebar— স্কিনে প্রদর্শিত অংশটুকুর উপরের অংশ দেখার জন্য Shift+Spacebar ব্যবহার করুন। এতে পেজের উপরের অংশ ধারাবাহিক ভাবে প্রদর্শিত হবে।
Down Arrow – পেজের নিচের দিকে যাওয়ার জন্য।
Page Down —একই সঙ্গে এক স্কিন পরিমাণ পেজ নিচে যাওয়ার জন্য।
Up Arrow – পেজের উপরের দিকে যাওয়ার জন্য।
Page Up — একই সঙ্গে এক স্কিন পরিমাণ পেজ উপরের যাওয়ার জন্য।
End – পেজের সর্বশেষ অংশে যাওয়ার জন্য।
Home – পেজের সর্বপ্রথম অংশে যাওয়ার জন্য।

Pages, Tabs ও Bookmarks শর্টকাটঃ

F5               — বর্তমান পেজটি রিলোড করার জন্য।
Alt + Home —ব্রাউজারের সকল ট্যাব ক্লোজ করে হোম ট্যাব নিয়ে আসার জন্য।
Ctrl + L       — এড্রেস বারে যাওয়ার জন্য।
Ctrl + K      — সার্চ বক্সে এ যাওয়ার জন্য।
Ctrl + =       — পেজের টেক্স সাইজ বড় বা zoom করার জন্য। 
Ctrl + –        — পেজের টেক্স সাইজ ছোট বা zoom out করার জন্য।
Ctrl + P       —ওয়েবপেজ প্রিন্ট করার জন্য।
Ctrl + H       — ব্রাউজিং ইতিহাসগুলো পেজের বাম সাইডে দেখার জন্য।
Ctrl + T       — নতুন ট্যাব খোলার জন্য।
Ctrl + W     — বর্তমান ট্যাব বন্ধ করার জন্য।
Ctrl + Tab   — এক ট্যাব থেকে আরেক ট্যবে যাওয়ার জন্য।
Ctrl + 1-9    — যেকোন একটি নম্বর ব্যবহার করে আপনি সেই ট্যাবে যেতে পারেন।
Ctrl + B      — বুকমার্ক কলাম পেজের বাম সাইডে দেখার জন্য।
Ctrl + I       — বুকমার্ক কলামটি বন্ধ করার জন্য।
Ctrl + D     – বর্তমান পেজটি বুকমার্ক করার জন্য।

Mouse শর্টকাটঃ

Shift – scroll down – আগের পেজে ব্যাক করার জন্য।
Shift – scroll up – পরবর্তঅ পেজে ব্যাক করার জন্য।
Ctrl – scroll up — পেজের টেক্স সাইজ বড় বা zoom করার জন্য।
Ctrl – scroll down — পেজের টেক্স সাইজ ছোট বা zoom out করার জন্য।
Middle click on link —কোন লিঙ্ক নতুন ট্যাবে খোলার জন্য।
Middle click on a tab — ট্যাব বন্ধ করার জন্য।
Middle click- পেজের উপরে নিচে যাওয়ার জন্য।

বুধবার, ১৮ মার্চ, ২০১৫

শিশুর হাতে ইন্টারনেট: অভিশাপ না আশীর্বাদ?

নিজের পছন্দের সিনেমার সিডি কেনার জন্য অথবা রেফারেন্স বইয়ের জন্য কষ্ট করে দোকানে যাওয়া, চিঠি পাঠানোর জন্য পোস্ট-অফিসে দৌড়ঝাঁপ করা-এসবই এখন সেকেলে।
কারণ একটা মাত্র ক্লিকেই সামনে হাজির হয়ে যাবে পুরো বইয়ের ভাণ্ডার। এক ক্লিকেই চিঠি উড়ে যাবে হাজার মাইল। আজকের এই যুগে ব্যস্ততার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জীবনকে সহজ থেকে সহজতর করে দেয়ার প্রচেষ্টাগুলোও। আর তাই আজ এই বিশাল বিশ্ব যেন এই ক্ষুদ্র হাতের মুঠোয়।
কিন্তু ওই যে! আবারো সেই চিরায়ত বাণী।প্রত্যেকটি মুদ্রারই দুটো পিঠ থাকে। হাতের মুঠোয় ক্ষমতা থাকলে তার বিভিন্ন চমকের সাথে সাথে ভয় থাকে তার অপব্যবহারেরও। আর ঠিক এই ভয়টাই বাস্তব হয়ে দাঁড়িয়েছে এই একবিংশ শতাব্দির অদ্ভুত বিস্ময় ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে। আর এই ভয়ের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ‘শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার’-এর বিষয়টি।
বর্তমানে বাচ্চাদের লালন-পালনের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের চিন্তার ঝুলিতে যুক্ত হয়েছে নতুন বিষয়-ইন্টারনেট। হ্যাঁ! ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তা হোক কী পারদর্শিতা-বড়দের চেয়ে কোন দিক দিয়েই পিছিয়ে নেই বাচ্চারা।
মা-বাবার সাথে পাল্লা দিয়ে এখন শিশুরাও সময়ে-অসময়ে ব্যবহার করছে ইন্টারনেট। সেটা স্কুলের প্রজেক্টের উদ্দেশ্যে হোক কিংবা নিজের পছন্দের কোনো গেম আর সিনেমা ডাউনলোডের জন্য। 'ইন্টারনেট' আজ শিশুর জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ব্রডব্যান্ড-ওয়াইফাইয়ের এই যুগে ইন্টারনেটে ব্রাউজ করা ঠিক পুতুল-গাড়ি দিয়ে খেলার মতই ছেলেখেলা। ছেলেখেলা হলেও অতটা সামান্য নয় ব্যাপারটি। বাবা-মা সন্তানের হাতে খেলনা তুলে দিয়ে যেভাবে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন, ইন্টারনেট-সংযোগ সুবিধা দিয়ে ঠিক ততোটাই চিন্তায় থাকেন।
কেননা ইন্টারনেট এমন এক জাদুরছড়ি যার প্রভাবে পুরো একটি ভবিষ্যৎ জাতি গড়াও যেমন সম্ভব তেমনি ধ্বংস করে দিতেও সময় লাগবে না। আর আজকের যুগে এই ধ্বংস ব্যাপারটাই কেন যেন প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ভুল তথ্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনেক শিশু-কিশোর-তরুন নিজেদের ঠেলে দিচ্ছে নানা অন্যায়-অপকর্মের দিকে। যার ফলে তারা ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে নৈতিকতা-মূল্যবোধ থেকে।
তাই তাদের নিজেদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য,পরিবারের ভালোর জন্য এবং সর্বোপরি দেশের উন্নতির জন্য তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে ইন্টারনেটের ভালো দিকটির সাথে আর এরই সাথে তার মাঝে প্রবেশ করিয়ে দিতে হবে ভালো-খারাপের মাঝের পার্থক্য।
তবে তাদের খারাপের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার একেবারেই বন্ধ করে দেয়াটাও হবে বোকামি। কেননা এর ফলে যেমন তারা জীবনযুদ্ধে পিছিয়ে পড়বে তেমনি হঠাৎ করে ইন্টারনেটের ব্যবহার বন্ধ করার ফলে তারা হয়ে উঠতে পারে বেপরোয়া,লাগামহীন।
বন্ধু হয়েই আগলে রাখুন :
শিশুদের সাথে জড়িত প্রত্যেকটি বিষয়ই সামাল দিতে হয় খুব সতর্কতার সাথে।একটু অসাবধানতা তাদের মানসিক বিকাশের পথে ভয়ঙ্কর বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর শিশুর যেকোন পছন্দের ব্যপারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যপারটি কিছুটা স্পর্শকাতরই বটে।
বাবা-মায়ের মনে জাগা শিশুদের ‘ইন্টারনেট-ব্যবহার’ সম্পর্কীয় কিছু সাধারণ প্রশ্নের বিষয়ে চ্যাম্পস টোয়েন্টিওয়ান ডটকম কথা বলেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপী ইউনিটের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট হাজেরা খাতুন-এর সঙ্গে।
* শিশুরা ইন্টারনেটে কী করছে বা দেখছে তা জানার জন্য অভিভাবকদের কি তাদের পাশে বসে থাকা উচিত?
হাজেরা খাতুন: না। কারণ সারাক্ষণ নজরদারিতে রাখলে তারা অস্বস্তিবোধ করবে। তাদের মাঝেমাঝে নিজেদের জন্য স্পেস বা সময় দেয়া প্রয়োজন।
* যদি কখনো দেখা যায় যে তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে এমন কিছু করছে বা দেখছে যা তাদের করা উচিত নয় সে ক্ষেত্রে কী শাসন করা উচিত?
হাজেরা খাতুন: যদি বকাঝকা করা হয় তাহলে ওই সময়টাতে হয়তো বাচ্চাটিকে থামিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু এর ফলে তার মাঝে ধারণা জন্মাবে যে এখানে এমন কিছু একটা আছে যেটা তাকে পরে জানতে হবে এবং সে ঠিকই অগোচরে তা পরে জেনে নিবে।
* বাবা-মা দুজনেই চাকরির প্রয়োজনে প্রায় সারাদিনই বাইরে থাকছেন। সেক্ষেত্রে বাবা-মা সন্তানের এই বিষয়টি কিভাবে মোকাবেলা করবেন?
হাজেরা খাতুন: এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রসঙ্গ। এটা ঠিক যে আমাদের জীবনটা খুবই ব্যস্ত ও ক্লান্তিকর। তাই এক্ষেত্রে সবচে জরুরি হল বাবা-মায়ের সন্তানের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম মেইন্টেইন করা। দিনের মাঝে যতোটুকু সময়ই মা-বাবা বাচ্চাকে দেননা কেন ওই সময়ের মাঝেই তাকে খারাপ-ভাল এই ধারণা দিতে হবে। আরেকটি জরুরি ব্যাপার হল মা-বাবার অনুপস্থিতিতে বাচ্চাটি কার তত্ত্বাবধানে থাকছে। অবশ্যই নির্ভরযোগ্য কারো কাছেই তাকে রাখা উচিত। তবে সারাক্ষণ এই ব্যাপারে চিন্তিত থাকলে চলবেনা কেননা শিশু ইন্টারনেট ব্যবহার করে শুধু খারাপ কিছুই তো আর শিখবেনা, ভাল কিছুও তো শিখবে।
* অনেক সময় দেখা যায় যে হয়তো শিশুরা না বুঝেই ইন্টারনেটে এমন অনেক কিছু দেখে ফেলল যা তার দেখা উচিত না সেক্ষেত্রে বাবা-মায়ের করনীয় কি?
হাজেরা খাতুন: অবশ্যই এক্ষেত্রে বাবা-মাকে প্রথমেই ইন্টারনেট সিকিউরিটি সিস্টেমটি ব্যবহার করতে হবে। শিশুটি যাতে তার উপযোগী সাইটগুলো পরিদর্শনের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। আর তারপরও যদি কোনভাবে দেখেই ফেলে তবে সেক্ষেত্রে যে বিষয়টি সবচেয়ে জরুরি, তা হল সে কি সেটার কোনো প্রয়োগ তার জীবনে করছে কিনা বাবা-মায়ের তা পর্যবেক্ষণ করা, আর অবশ্যই তাকে তার ভুলগুলো সম্পর্কে বুঝানো।
* তাহলে ইন্টারনেটের ব্যবহার শিশুর জন্য কেমন হওয়া উচিত?
হাজেরা খাতুন: সর্বপ্রথম শিশুকে বুঝতে হবে। বাবা মাকে তার জায়গায় নেমে এসেই, তার বন্ধু হয়েই সন্তানের আনন্দ-চাওয়াগুলো বুঝতে হবে। ইন্টারনেটের ব্যবহার একদম বন্ধ করে দেয়া যাবেনা, তা সম্ভবও না। তবে তাকে তার উপযোগী বিষয়গুলো নিয়ে ধারণা দেয়া, শিশুদের জন্য যেসব সাইট-ব্লগ আছে সেসবের সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া উচিত।
মনে রাখতে হবে,বাবা-মায়ের একটি অসতর্ক কদম বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে পুরো পরিবার এমনকি পুরো জাতির জন্যও। তাই বন্ধু হয়েই শিশুর দিকে বাড়িয়ে দিতে হবে হাত।

Delete হয় না এমন ফাইল বা ফোল্ডার কে Delete করুন খুব সহজে

Delete হয় না এমন ফাইল বা ফোল্ডার কে Delete করুন খুব সহজে (আপনার মেমোরি কার্ড, পেন ড্রাইভ ও কম্পিউটার থেকে)।
>> আপনার কম্পিউটার এর হাইড ফাইল বা ফোল্ডার ডিলিট করতে পারছেন না ? মেমোরি, পেনড্রাইভ বা কম্পিউটার এ ভাইরাসে আক্রান্ত করেছে এবং এমন কিছু ফোল্ডার তৈরি হয়েছে যা আপনার পক্ষে ডিলিট করা সম্ভাব না ? তাহলে এই পোস্ট টি আপনার জন্য। হা বন্ধুরা আমি আজ আপনাদের আমনি একটি সফটওয়্যার শেয়ার করব জার মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিউটার, মেমোরি কার্ড বা পেনড্রাইভ এর হিডেন ফাইল গুলো খুব সহজেই ডিলিট করতে পারবেন। ভয় পাবেন্না তেমন বড় কোন সফটওয়্যার না, মাত্র 1.2 MB । সফটওয়্যার টির নাম Unlocker তাহলে এখনি ডাউনলোড করুন এবং ডিলেট হয়না এমন ফাইল বা ফোল্ডার ডিলেট করুন।
যেভাবে Delete করবেন
প্রথমে সফটওয়্যার টি আপনার কম্পিউটার এ ডাউনলোড এবং ইনস্টল করুন।
এবার যে ফাইল বা ফোল্ডার টি ডিলিট করবেন সেটার উপর রাইট বাটন ক্লিক করে Unlocker এ ক্লিক করুন।
এবার No Action এ ক্লিক করে Delete সিলেক্ট করুন এবং ওকে ক্লিক করুন।
এবার কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করুন দেখুন আপনার ফাওল বা ফোল্ডার টি delete হয়ে গেছে। ( ডিলিট করার পদ্ধতি টা আপনার ফাইল বা ফোল্ডার এর উপর ভিত্তি করে একটু ভিন্ন ও হতে পারে।)
স্কিন সর্ট দিতে চেয়ে ছিলাম।
নেট টা একটু ট্রাবল করায় দিতে পারলাম না বলে দুঃখিত। যদি কার বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে জানাবেন।

সোমবার, ৯ মার্চ, ২০১৫

ওডেস্কে কাজ করতে চান? কি শিখবেন? কিভাবে শিখবেন?



ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করা এখন যে আর কাল্পনিক কিছু নয় সেটি ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। হাজার হাজার ছেলে মেয়ে এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। কাজটি করার মাধ্যমে তারা নিজেকে স্বাবলম্বী রে তুলেছে সেই সঙ্গে দেশকেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে। অনলাইনে বেশ কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তন্মধ্যে ওডেস্ক রয়েছে সবার উপরে। ওডেস্কে প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয়ের উপর হাজার হাজার কাজ জমা পড়ছে। আর সে কাজগুলি করেই বিভিন্ন বিষয়ের দক্ষ ফ্রিল্যান্সারগণ নিজেদেরকে করে তুলেছে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন। কথা থেকে সহজেই অনুমেয় যে ওডেস্কে কাজ পেতে হলে দক্ষতার কোন বিকল্প নেই।

কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কি কাজ করবেন বা কোন বিষয়ে দক্ষ হবেন। এটি আসলে নির্ভর করে কোন ব্যক্তির কোন বিষয়ের কাজকরার যোগ্যতা রয়েছে। যেমন কোন ব্যক্তি যদি শুধু টাইপিংয়ের কাজ জানে তাহলে তার উচিত হবে ডাটা এন্ট্রির কাজের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা।তো বন্ধুগণ এমনিভাবে আজ আমরা আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফল হওয়ার জন্য কী কাজ শিখবেন এবং সেটি কীভাবেই বা শিখবেন?
কাজ পাওয়ার জন্য কী শিখবেন


কাজ পেতে হলে কিছু বিষয় অবশ্যই আপনার আয়ত্তে আনতে হবে। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক কী শিখবেন?

ইংরেজীর গুরুত্ব নিশ্চয় আপনাকে বোঝানো লাগবে না। সুতরাং ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার জন্য ইংরেজী শিখুন।

) এরপর নিচের যেকোনটা বেছে নিন , তবে যত বেশি জানবেন ততই লাভ,


     * ডাটা এন্ট্রির জন্য-অফিস প্যাকেজ, ওয়েব রিসার্চ, আর্টিক্যাল রাইটিং, ইউটিউব ডিটেইলস ইত্যাদি।

     * গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর জন্য- ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর,কোরেল ড্র, ইনডিজাইন শিখুন।

     * ওয়েব ডিজাইনিং এর জন্য-ফটোশপ, HTML, CSS, Javascript, JQuery,

     * ওয়েব ডেভেলপিং এর জন্য-HTML, CSS,পিএইচপি

     * কনটেন্ট ম্যানেজমেন্টের জন্যওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা (ব্যাসিক আ্যডভান্স)

কাজ কীভাবে শিখবেন, কোথা থেকে শিখবেন?

অনলাইনে যেকোন কাজ আপনি খুব সহজেই শিখতে পারেন বিভিন্ন টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে। টিউটোরিয়াল খুজে পেতে গুগলের সহায়তা নিন।

ভিডিও দেখে শিখবেন। ইউটিউব ছাড়াও লিন্ডা ইত্যাদির ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে।
কিছু স্যাম্পল কাজ আগেই করে রাখুন


আপনি কোন কাজ করতে পারেন সেটি বায়ারকে শুধু মুখে বললেই তো আর কাজ পাওয়া যাবে না। বরং ধরনের কিছু কাজ আগে থেকে করে রেডি রাখুন এবং বায়ারকে দেখান। তবে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাছাড়া বাংলা প্রবাদটি তো আপনারও জানা যেশুকনো কথায় চিড়া ভিজে না
কাজ পাওয়ার পূর্বশর্ত

ফ্রিল্যান্সিং এখন অনেকের মূল পেশা। আবার অনেকেই রয়েছেন অল্প কিছুদিন কাজ পাওয়ার চেষ্টা করে কাজ না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং- ছেড়ে দিয়েছেন।বিপরীতভাবে অনেকেই রয়েছেন যারা ধৈর্যের সাথে নিয়মিত চেষ্টা করে গেছেন এবং পরবর্তীতে কাজও পেয়ে গেছেন। এখন তারাই সফল ফ্রিল্যান্সার। সুতরাং একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিম্নোক্ত কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।


আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। খুব সহজেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়া চলবে না।

আপনি যে ধরনের কাজ করতে চান সেসব কাজের কিছু স্যাম্পল আগেই তৈরী করে পোর্টফোলিওতে রাখতে হবে।

আপনার দক্ষতাগুলি প্রকাশ পায় এমনভাবে সুন্দর একটি কাভার লেটার তৈরী করতে হবে।

আপনি যে ধরনের কাজ করেন সে কাজের নিত্য নতুন ট্রেন্ডের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে এবং সেগুলি শিখে আপনার আয়ত্তে রাখতে হবে।
আগে কাজ করুন, টাকা এমনিতেই পাবেন

আমাদের দেশ থেকে এখন লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার ওডেস্কে কাজ করছে এবং কোন ঝামেলা ছাড়াই তাদের টাকা হাতে পেয়ে যাচ্ছে। সুতরাং টাকা পাওয়ার ব্যাপারে দুঃচিন্তা না করলেও চলবে। তবে আপনাকে যেটি নিয়ে চিন্তা করতে হবে সেটি হচ্ছে বায়ারের রেটিং এবং কাজটি কিভাবে পাওয়া যায়। কারণ বায়ারের রেটিং ভালো হলে টাকা পাওয়ার ব্যাপারটি নিয়ে বিন্দুমাত্র ঝামেলার আশঙ্কাও নেই। আর কাজটি পেয়ে আপনি সঠিকভাবে করে দিতে পারলে পেওনার, মানিবুকার, চেক, ওয়ার ইত্যাদি অনেক উপায়েই আপনি টাকা তুলতে পারবেন। সুতরাং টাকা কিভাবে পাবেন সে চিন্তা না করে বরং কোন কাজ কীভাবে পাবেন এবং সেটি কীভাবে করবেন সেটি চিন্তা করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ
  ---সংগ্রহ--

রবিবার, ৮ মার্চ, ২০১৫

লক করুন ব্যক্তিগত ফোল্ডার সফটওয়্যার ছাড়া

ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ব্যবহারকারী একাধিক হলে অনেক ফোল্ডার লুকিয়ে রাখতে হয়। অাপনি চাইলে ফোল্ডারটি লক করে রাখতে পারেন। এখন এটি করা সম্ভব বেশ কিছু সফওয়্যারের সাহায্যে।
ধরা যাক, আপনার কম্পিউটার D ড্রাইভের একটি ফোল্ডার আপনি লক করে রাখতে চান। ধরি, এই ফোল্ডারটির নাম হলো work। এখন ফোল্ডারটির লক করার জন্য আপনাকে প্রথমে কম্পিউটারের ডেস্কটপে গিয়ে নোটপ্যাড খুলতে হবে।
এরপর নোটপ্যাডটিতে ren wfork wfork.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D} লিখে ফাইলটি lock.bat নামে সেভ করে রাখতে হবে। এবার তৈরি হয়ে গেল কাঙ্ক্ষিত ফোল্ডারের একটি লক ফাইল।
এখন আবার আরেকটি নোটপ্যাড ফাইল খুলে তাতে লিখুন ren work.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D} work। এবার এই নতুন ফাইলটি সেভ করুন key.bat নামে। এটি কাঙ্ক্ষিত ফোল্ডারের আনলক ফাইল হিসেবে কাজ করবে। এ দুটি ফাইল কাট করে পেস্ট করে দিন কাঙ্ক্ষিত ফোল্ডারটি যে ড্রাইভে রয়েছে, সেই ড্রাইভে।
এখন নামের ফাইলটিতে ক্লিক করলেই ফোল্ডারটি লক হয়ে যাবে। অর্থাৎ ফোল্ডারটি আর খোলা যাবে না। এখন ফোল্ডার যদি আবার আনলক করতে চান, তাহলে key.batনামক ফাইলটিতে ক্লিক করুন। তা হলে আবার আনলক হয়ে যাবে ফোল্ডারটি।


https://www.facebook.com/ComputersTechnology24 

আয় করুন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত পেয়িং সাইট PaidVerts থেকে

PaidVerts কি?
PaidVerts (paidverts.com) PTC জগতের নতুন এক সদস্য। এটি ২০১৪ সালের ৩১শে মার্চ তাদের যাত্রা শুরু করে।এটির আয়ের সিস্টেম অন্যান্য পিটিসি সাইট এর থেকে একটু আলাদা। আর এটিকে শুধু পিটিসি বললেও ভুল হবে। কারন এটি পিটিসি এবং রিভেনু শেয়ার মিলিয়ে একটি হাইব্রিড প্রোগ্রাম। বর্তমানে পিটিসি জগতে এটি ৩ নাম্বার এ অবস্থান করছে। আর সব থেকে বড় সুবিধা হল এটি মোবাইল ফোন সাপোর্ট করে। মানে আপনি নির্দ্বিধায় মোবাইল দিয়ে কাজ করতে পারবেন। এটির মালিক JO COOK.
Jo Cook কে?
তার সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি তিনি একজন বড় মাপের Online Marketer এবং MyTrafficValue (mytrafficvalue.com) মালিক। MyTrafficValue Crowdfunding প্ল্যাটফর্ম যেটি ২০১০ সাল থেকে Online এ আছে।আসলে, PaidVerts MyTrafficValue এর আর একটি অংশ। Crowdfunding কি তা নিয়ে না হয় পরবর্তী পোস্ট এর আলোচনা করবো।
রেজিষ্ট্টেশন করতে নিচে ব্যানারে ক্লিক করুনঃ
PaidVerts
>aidVerts আপনি কি পরিমাণ আয় করতে পারবেন?
আমি আগেই বলেছি PaidVerts এর সিস্টেম অন্যান্য পিটিসি সাইট থেকে একটু ভিন্ন। এখানে আপনি যেমন অন্যান্য পিটিসি এর মত রাতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আয় করতে পারবেন না তেমনি এখানে আয়ের কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ কেউ কখনো বলতে পারবে না এমনকি PaidVerts ও না। কারন এখানে PaidVerts তাদের প্রতিদিন এর আয়ের উপর ভিত্তি করে পরের দিন এর জন্য ইউজার দের আয় ভাগ করে দেয়। তাই একদিনে PaidVerts যত বেশি আয় করতে পারবে পরেরদিন ইউজাররা তত বেশি অ্যাড পাবে মানে তত বেশি আয় করতে পারবে। নিচে কিছু Paidverts এর অ্যাড Sample দেখুন।
কিভাবে আপনি PaidVerts থেকে ভাল আয় করবেন?
আবারো বলছি PaidVerts অন্য পিটিসি সাইট এর থেকে একটু ভিন্ন। অনেকেই বলতে পারেন একই কথা কেন বার বার বলছি! আপনার সেই প্রশ্নের উত্তর এখন পেয়ে যাবেন। অনুরোধ রইল এই পয়েন্ট টা একটু ভাল ভাবে পড়ার জন্য। কারন এটিই মেইন পয়েন্ট যার জন্য PaidVerts কে অনেকের কাছে অনেক কঠিন মনে হয়।
*** PaidVerts এর টাকা,ডলার,ইউরো এসবের মত নিজেস্ব একটি কারেন্সি আছে সেটির নাম হল BAP। আপনি মূলত Paidverts এ BAP আয় করবেন। Paidverts আপনাকে BAP রেখে ডলার দিবে। তবে আপনাকে তারা সরাসরি ডলার দিবে না, ডলার এর অ্যাড দিবে যেটা ক্লিক করলে আপনি ডলার পাবেন। ২০BAP = ১ সেন্ট।
***সুতরাং, আপনার মূল কাজ হল BAP আয় করা। আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন কিভাবে আপনার BAP বৃদ্ধি করা যায়।
কিন্তু কিভাবে?
BAP বৃদ্ধি করার ৩টি পদ্ধতি আছে,
১। Paidverts এর Bonus AD
২। Paidverts এ ছোট একটা Invest করে।
৩। Paidverts এর ছোট ছোট গেম খেলে।
Paidverts এর Bonus AD.
Paidverts আপনাকে প্রতিদিন ৮টি বোনাস অ্যাড দিবে যার প্রতিটি আপনাকে ২৫ BAP করে দিবে। সুতরাং আপনি প্রতিদিন ২০০ করে BAP আয় করতে পারবেন ফ্রি।
Paidverts এ ছোট একটা Invest করে।
ছোট ইনভেস্ট বলতে আমি ১ ডলার এর কথা বলেছি যা আমাদের বাংলাদেশি টাকায় ৭৭-৭৮ টাকা। এই ইনভেস্ট আপনি দুই ভাবে করতে পারেন সরাসরি নিজের পকেট থেকে অথবা Paidverts আয় করে আবার Paidverts এই ইনভেস্ট করা। Paidverts প্রথম অবস্থায় আপনার ১ ডলার আয় করতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে।
আপনি ১ ডলার ইনভেস্ট করলে Paidverts আপনাকে ৩১০০ BAP দিবে যার মাধ্যমে আপনি ১.৫৫ ডলার সমপরিমাণ অ্যাড পাবেন। মানে ০.৫৫ ডলার নিট প্রফিট। তারমানে আপনি যতবার ১ ডলার ইনভেস্ট করবেন ততবার আপনি ০.৫৫ ডলার লাভ করবেন। ইন্টারেস্টিং না! সম্পূর্ণ লেখা পড়ুন আরও ইন্টারেস্টিং মনে হবে।
গেম খেলে BAP বাড়ানো
আমি নিজে প্রথম পর্যায়ে গেম খেলে আমার অনেক BAP নষ্ট করেছিলাম। তাই আমি আপনাদের এটা না খেলার জন্য অনুরোধ করবো। তবে এমন অনেকে আছেন যারা গেম খেলে হাজার হাজার BAP আয় করেছেন। অবশ্য এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ট্রিক রয়েছে। আপনি গুগল অথবা ইউটিউব ঘাঁটলেই এসব ট্রিক পেয়ে যাবেন।
এবার বলবো Paidverts আরও একটা মজার সুবিধা সম্পর্কে সেটা হল BAP গ্রুপ।
BAP গ্রুপ কি?
আসলে এটি ইউজারদের আয়ের পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেয়ার একটি পদ্ধতি। আপনি যত বড় গ্রুপ এ যাবেন তত বেশি দামি অ্যাড পাবেন। এটা নির্ভর করে আপনি মোট কত BAP এর মালিক তার উপর।
খেয়াল করুন,
Group 01: from 100 to 1599 BAP.
Group 02: from 1600 to 12000 BAP.
Group 03: from 12000 to 24000 BAP.
Group 04: from 24k to 48k BAP.
Group 05: from 48k to 96k BAP.
Group 06: from 96k to 180k BAP.
Group 07: from 180k to 360k BAP.
Group 08: from 360k to 720k BAP.
Group 09: from 720k to 1.5m BAP.
Group 10: from 1.5m to 3m BAP.
Group 11: from 3m to 6m BAP.
Group 12: 6m to 20m BAP.
Group 13: 20m BAP and up.
এবার আপনার লক্ষ ঠিক করার পালা।
আপনি একটা নির্দিষ্ট লক্ষ ঠিক করুন আপনি ঠিক কত BAP আপনার অ্যাকাউন্ট এ মজুদ রাখবেন। কারন আমারা সবাই এখানে এসেছি কিছু আয় করতে আয় করে সেটা যদি পুরটা আবার দিয়েই দেই তাহলে লাভ হল কি? তাই নির্দিষ্ট লক্ষ ঠিক করা জরুরী। ধরুন আপনি ৪৮ হাজার BAP নিয়ে গ্রুপ নাম্বার ৫ এ থাকবেন তাহলে আপনার খেয়াল রাখতে হবে কখনই যেন আপনার BAP ৪৮ হাজার এর নিচে না চলে যায়। আর এর বেশি যা থাকবে তা আপনার প্রতিদিন এর আয়। কোন ইনভেস্ট ছাড়া ৪৮ হাজার BAP করতে সর্বোচ্চ ২ মাস লাগবে। আর দুই মাস অপেক্ষা করতে না চাইলে আপনি নিজের পকেট থেকে ইনভেস্ট করতে পারেন এর জন্য আপনাকে ১৬ ডলার বা ১২৫০ টাকা খরচ করতে হবে। এতে আপনি মোট ৪৯৬০০ BAP পাবেন।
 
 রেজিষ্ট্টেশন করতে নিচে এখানে ক্লিক করুনঃ

সুত্র : pchelplinebd